জিয়াউর রহমান গণভোটের আয়োজন করেছিলেন। হ্যাঁ/না ভোটের মাধ্যমে তিনি ভোট নিয়ে জনগণের সাথে তামাশা করে গিয়েছেন। এর মাধ্যমে কোনো কোনো কেন্দ্রে তিনি ১০০ ভাগ ভোট পেয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।

মঙ্গলবার (১৭ মে) সকার ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ এর প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

সভার শুরুতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এর আগে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।

অনুষ্ঠানের মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরশনের নগরপিতা বলেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মতোই তার কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনও এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ভাগ্যক্রমে বেচে যান শেখ হাসিনা। ৭৫ থেকে পরবর্তী ৬ বছরে এই দেশকে একটি উগ্র মৌলবাদী দেশে পরিণত করেন জিয়াউর রহমান। তিনি একাত্তর এবং এর পরবর্তী খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনেন।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সময়ে কারফিউয়ের যে রাজনীতি শুরু হয়েছিল পরবর্তী ৫ বছর এই রাজনীতি ছিল। এইরকম একটি ভয়াবহ রাজনীতি যেখানে মিটিং মিছিল করা যেত না, অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলা যেত না, সাম্যের কথা বলা যেত না। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে স্লোগান দেওয়া যেত না।

আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য আরও বলেন, ৮১ সালের কাউন্সিলে দলের নেতৃত্ব নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তখন নেতারা বলছিল শেখ হাসিনা তো পাশর্^বর্তী দেশ ভারতেই আছেন। তিনিই হতে পারেন আমাদের ঐক্যের প্রতীক। তারপর নেতাকর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লিতে গেলেন এবং ১৭ মে নেত্রী দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন।

মেয়র বলেন, বিমানবন্দর থেকে জনতার ভীড় ঠেলে নেত্রীকে বহনকারী ট্রাকটির মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ যেতে লেগেছিল প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সময়। তাঁর এই পথ অতিক্রম করতে সময় লেগেছিল সাড়ে ৪ ঘণ্টার মত। পিতা কন্যার মধ্যে কত মিল!

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভার সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম। সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামানিক, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র-উপদেষ্টা তারেক নূরসহ বিভিন্ন অনুষদের ডীন, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি প্রমুখ।